চীনা কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছে যে তারা চীনকে বৈশ্বিক বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। তবে বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, ওয়াশিংটন তাদের ক্ষমতাকে অতিমূল্যায়ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে চীনকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা প্রায় অসম্ভব।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করার শর্তে অন্যান্য দেশকে শুল্ক ছাড় দেওয়ার যে চাপ যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োগ করছে, তা অতিরঞ্জিত ও শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ছাড়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বাণিজ্য অংশীদারদের উপর চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করার দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের মতে, এইভাবে যুক্তরাষ্ট্র নিজের ক্ষমতাকে অতিমূল্যায়ন করেছে এবং বেইজিংয়ের স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটকে অবমূল্যায়ন করেছে। শুল্ক আলোচনায় জোর খাটানো এবং চীনকে সীমাবদ্ধ করার এই প্রচেষ্টা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের সামিল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর জবাবে, চীন নিজের স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতিমালার সুরক্ষায় সক্রিয় হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেইজিংয়ের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা "একটা কাঁটাচামচ দিয়ে স্যুপ খাওয়ার মতো অকার্যকর।"

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৮৫টি দেশের পণ্যের উপর ব্যাপক হারে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। একাধিক দেশের পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কহার বাজারমূল্যের ২০–৩০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছায়। পরে, ট্রাম্প কিছু শুল্ক ৯০ দিনের জন্য মুলতবি করেন এবং বেস রেট হিসেবে ১০% শুল্ক নির্ধারণ করেন, তবে চীনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম করে তিনি চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫% হারে শুল্ক আরোপ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫% শুল্ক আরোপ করে।

২০২৫ সালের মার্চ মাসে, চীন আরও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন কসমেটিকস ও পারফিউম আমদানি কমিয়ে দেয়, যার ফলে আমেরিকান পণ্যের রপ্তানি কমে $4.1 মিলিয়নে নেমে আসে।